- Yarn Manufacturing Engineering: মুলত কাজ হল ফাইবার থেকে সুতা প্রস্তুত করা।
-Fabric Manufacturing Engineering: মুলত কাজ হল সুতা থেকে Weaving or Knitting এর মাধ্যমে ফেব্রিক বা কাপড় প্রস্তুত করা।
-Wet
processing Engineering:মুলত কাজ হল ফেব্রিক এ বা সুতা তে রঙ করা।
-Apparel
Manufacturing Engineering: মুলত কাজ হল রঙ করা বা Finished ফেব্রিক কে কেটে এবং সেলাই করে Export উপযোগী করে Export করা।
-Fashion
Design :মুলত কাজ হল নতুন নতুন ডিজাইন এর কাপড় তৈরি, এবং নতুন ফ্যাশান চালু করা।
-Textile
Management : মুলত কাজ হল পুরো সিস্টেম এর ম্যানেজমেন্ট
করা।
এবার আশা যাক কোন সাবজেক্ট এ পরবা।
সেটাও তোমার
উপরেই নিরভর করে। তুমি কোন বিষয়ে পরবা সেই সিদ্ধান্তও তোমাকেই নিতে হবে। আমি
এখানে শুধু তোমাদের একটু হেল্প করতে পারি। প্রথমেই ঠিক করো যে তুমি কোন সেক্টরে
ভালো করবা?
ফ্যাশান, নাকি পিওর ইঞ্জিনিয়ারিং, নাকি ম্যানেজমেন্ট নাকি নাকি উচ্চতর পড়াশুনার জন্য বিদেশে যাবা?
ফ্যাশান এ পড়তে হলে তোমাকে বেশ ক্রিয়েটিভ হতে হবে, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারতেছ। বাংলাদেশের আর কোথাও ফ্যাশান এর উপরে বিএসসি
ডিগ্রি দেয়া হয়নি। একমাত্র বুটেক্স থেকেই দেয়া হচ্ছে। সো তোমরা যারা মনে করো যে
তোমাদের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি আছে,
ভালো ডিজাইন
করতে পারো, এবং বেশ ফ্যাশানাবল তারাই এই সাবজেক্ট এ
পড়তে পারলে বেশ ভালো করবা।
এখন আসো নাকি
পিওর ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপারে। তোমার যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা থাকে প্রবল
তবে তুমি Yarn Manufacturing, Fabric Manufacturing, বা Wet processing পড়তে পারো।
কারণ এই তিনটা সাবজেক্ট হল একেবারে ইঞ্জিনিয়ারিং। তার মধ্যে ইয়ারন কে বলা হয় “Mother of Textile Engineering”,
এখন আশা যাক ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে। তোমার যদি ম্যানেজিং পাওয়ার
ভালো থাকে, ইংলিশ এ দক্ষতা বেশ ভালো থাকে তবে এই
সাবজেক্ট এ পড়া ভালো।
বাদ পড়ল আপারেল। এই সাবজেক্ট এ পড়তে হলেও তোমাকে ম্যানেজিং
পাওয়ার ও ইংলিশ এ দক্ষতা বেশ ভালো থাকতে হবে। আর মেইন কথা হল তোমাকে অবশ্যই
চাপাবাজ হতে হবে এখান থেকে জব করতে হলে।
আর তুমি যদি
উচ্চতর পড়াশুনার জন্য বিদেশে যাবার চিন্তা করে থাক তবে Yarn Manufacturing বা Fabric Manufacturing পরাই ভালো। কারণ এখান থেকে যাওয়া বেশ সহজ। Wet processing থেকেও যেতে বেশি প্রব্লেম হয় না।
এতক্ষন তো অনেক
কচকচানি করলাম। এখন আশা যাক বেতন এর কথায়। বেতন অনুযায়ী কোন সাবজেক্ট ভালো হবে?
মন দিয়ে পরো।
–>ওয়েট প্রসেসিং: যদি তোমার কাছে বেতনটাই বড় কথা হয় তবে
ওয়েট এ পরাই ভালো। এখানে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাজ করতে হয়, রঙ নিয়ে সব সময়ে টেনশনে থাকতে হয়। আর ওয়েট এ পড়তে হলে তোমাকে টেকনিকাল
ব্যাপার জানার পাশাপাশি chemistry সম্পরকে অনেক বেশি ধারনা রাখতে হবে। কারণ এটা
chemistry based. সো ভেবে দেখো যে কি পরবা।
–>ফেব্রিক মানুফেকচারিং: এটা বেশ মজার সাবজেক্ট। এটা পরলে অনেক মজা
পাবে। তবে টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো বেশ ভালো করে বুঝতে হবে। আর মেশিন ভালো বুঝতে
হবে। জব করে খুব আরাম পাবা। এটাকেও পিওর ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। আর এখানে দুইটা ভাগ
আছে Knitting আর weaving. এখানে একটা কথা আছে। নিটিং এ কোন সমস্যা নাই, তবে ওয়েভিং এ
বেশ শব্দ হয়।
–>আপারেল মানুফ্যাকচারিং: এখানে জব বেশ ভালো। কর্পোরেট টাইপের জব। তবে
আগেই তো বলেছি ম্যানেজিং পাওয়ার ও ইংলিশ এ দক্ষতা বেশ ভালো থাকতে হবে। আর মেইন
কথা হল তোমাকে অবশ্যই চাপাবাজ হতে হবে এখান থেকে জব করতে হলে। কারণ বায়ার এর সাথে
সব সময় তোমাকে উঠা বসা করতে হবে।
–>ইয়ারন মানুফাকচারিং: একে বলা হয় মাদার অফ টেক্সটাইলস। ইয়ারন
ছাড়া টেক্সটাইল এর অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। তবে কিছু কিছু কারণে বর্তমানে
এই সেক্টরের জব একটু কম বেতনের। তবে জব করে বেশ আরাম। কারণ পরিশ্রম কম করেও বেশ
ভালো বেতন পাওয়া যায়। পুরাই কর্পোরেট জব।
–>টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্টঃ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমার বেশি কিছু বলার নাই।
নিজেদেরই বুঝে নিতে হবে। তার উপরে ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের বুটেক্স থেকে মাত্র ১
টা ব্যাচ বের হয়ে জব করতেছে,
এজন্য বলা কঠিন
হচ্ছে। তবে ভাইয়াদের কাছে যা শুনেছি তাতে বেশ ভালই মনে হয়েছে। কয়েকজন বড়
ভাইয়া আমাকে বলেছে যে আমি কেন ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট নেই নাই।
–>ফ্যাশান ডিজাইনঃ ফ্যাশান ডিজাইন নিয়েও বলার কিছু নাই। কারণ আমরাই প্রথন ব্যাচ যারা এখন ৪র্থ
সেমিস্টার এ পরতেছি। সো কিভাবে বলি? তবে একটা কথাই বলি।
ফ্যাশান থেকে আমাদের এখান থেকেই প্রথম বিএসসি দেয়া হচ্ছে। আর এটার বাজারদর তো
আমাদের ক্রিয়েতিভিটি এর উপরে ডিপেন্ড করবে।.
No comments:
Post a Comment